আমাদের অর্জনসমূহ
ফো (৪-জি) নেটওয়ার্কর জি
দুর্গম উপজেলার মোবাইল নেটওয়ার্ক চালুসহ ইতোমধ্যে দেশের জেলা ও বিভাগ গুলোকে ফোর জি (৪-জি) নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। সরকার দ্রততম সময়ে ফাইভ জি(৫-জি) চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, কালিয়াকৈর, গাজীপুর
বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি দেশের প্রথম হাই-টেক পার্ক। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির মোট জমির পরিমাণ ৩৫৫ একর। এ যাবত প্রায় ২৯টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমি/স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ডাটা সফট নামীয় প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে উৎপাদিত ওয়াটার ট্যাংক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আইওটি ডিভাইস সৌদি আরবে রপ্তানি করছে। বিজনেস অটোমেশন নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান কিওক্স মেশিন এ্যাসেম্বলিং পূর্বক দেশীয় বাজারে বিপণন করছে। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে মোট ১,০০,০০০ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করাহয়েছে। ইতোমধ্যে ৪টি ভবনে প্রায় ৪.২৫ লক্ষ বর্গফুট স্পেস নির্মাণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক
যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ শেষে গত ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্কটি উদ্বোধন করেন। আধুনিক সুবিধাসহ এতে রয়েছে ১৫তলা মাল্টি টেন্যান্ট বিল্ডিং (এমটিবি), জিমনেশিয়ামের সুবিধাসহ ১২তলা ডরমিটরি বিল্ডিং এবং ক্যান্টিন ও অ্যাম্ফিথিয়েটার, ৩৩ কেভিএ পাওয়ার-সাব স্টেশন, অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সংযোগ রয়েছে। পার্কটিতে ইতোমধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই পার্কে ৫০০০ জনের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জনতা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক
বর্তমানে এ পার্কে ১৮টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯০০ জন আইটি প্রফেশনাল কাজ করছে। আইটি সেক্টরে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রতিবছর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১০টি স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হয় এবং পার্কটির ৪র্থ তলায় বিনা ভাড়ায় স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠানকে স্পেস বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান ইনকিউবেশন পিরিয়ড সম্পন্ন করে সফলভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে এ ভবনে ১৩টি স্টার্ট আপ কোম্পানী ও তাদের আইডিয়া নিয়ে কাজ করছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি)
সিলেট বিভাগের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৬২.৮৩ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি) স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের ১টি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনিক ভবনে ২০০০ বর্গফুট স্পেস বরাদ্দ করা হয়েছে। এ পার্কে প্রায় ৫০,০০০ দক্ষ জনশক্তির প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানসহ বিপুল পরিমাণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, রাজশাহী
দুই লক্ষ বর্গফুটবিশিষ্ট ১০ তলা সিলিকন টাওয়ার, সাবস্টেশন ও জেনারেটর ভবনসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক নির্মাণ কাজ চলছে। এ প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি (অঠ/ঠজ/গজ) ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। পার্কটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, নাটোর
নাটোরের পুরাতন কারাগারকে সংস্কারের মাধ্যমে একটি দৃষ্টিনন্দন আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এ সেন্টারে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তরুণ-তরুণীদের আউটসোর্সিং কাজ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। ২ তলা বিশিষ্ট আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এ সেন্টারে প্রায় ৫০০ জন কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ( ৭ আইটি)
কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নাটোর, সিলেট, বরিশাল, মাগুরা ও নেত্রকোনা জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় ৩৬০০০ বর্গফুট বিশিষ্ট আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৩১০০ জনের প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।
জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়)
দেশের আইটি/আইটিইএস শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য স্থানীয় ও বৈদেশিক কোম্পানিকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে দেশের ১২টি স্থানে যথাক্রমে রংপুর (সদর), নাটোর (সিংড়া), কুমিল্লা (লালমাই), খুলনা (সদর), বরিশাল (সদর), গোপালগঞ্জ (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), ঢাকা (কেরানীগঞ্জ), ময়মনসিংহ (সদর), জামালপুর (সদর), কক্সবাজার (রামু), সিলেট (কোম্পানীগঞ্জ) এবং চট্টগ্রামে আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস